মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সেরা 5 টি স্কলারশিপ, একবার আবেদন করলে পড়াশুনার খরচ নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই।

শিক্ষার্থীরা দেশের ও দশের ভবিষ্যৎ সেটা আমরা সকলেই জানি এবং তাদের পড়াশুনার জন্য স্কলারশিপ বা Scholarship প্রদান করা হয় সরকারের তরফে। এইটা শাশ্বত সত্য যে বর্তমানের যুগে টাকা পয়সা ছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নয়, এর মধ্যে পড়াশুনা অন্যতম। অনেক সময় অসীম মেধা থাকা সত্ত্বেও টাকার অভাবে অনেককে পড়াশুনা মাঝপথেই ছেড়ে দিতে হয় এবং দেশের ভবিষ্যতেরা অশিক্ষার গভীর সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে, এই কারণের জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে এই সকল Scholarship এর ঘোষণা করা হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য সেরা স্কলারশিপ গুলি সম্পর্কে জেনে নিন।

১) স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপঃ-
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সকল শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য এই Scholarship প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছিল। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক থেকে গবেষণাস্তর পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। আবেদনকারীকে এই আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট শর্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আপনি যেই বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত সেখান থেকেই এই আবেদন আপনি করতে পারবেন। প্রতিমাসে এর মাধ্যমে ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। সময়ের সাথে এই বৃত্তির পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। আপনারা অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন।

২) উত্তর কন্যা স্কলারশিপঃ-
এই স্কলারশিপে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে রাজ্যের সকল দুঃস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য মাসিক আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজের পরীক্ষা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এই আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট নাম্বার পেতে হবে। অনেকে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে জানিয়ে রাখি যে, উত্তরকন্যা Scholarship উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য এবং নবান্ন Scholarship দক্ষিণবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু নাম আলাদা হলেও এটি একই স্কলারশিপ। এর অন্তর্গত এককালীন ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। আবেদনের সময় ও কোর্সের ওপর এই আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ কোন বা বেশি হতে পারে। নিজেদের বিদ্যালয়ে গিয়ে আপনারা এই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আবেদন করার আগে এই বিষয়ে আরও কিছু বিস্তারিত জেনে নেবেন।

৩) কন্যাশ্রী স্কলারশিপঃ-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ৮ ই মার্চ ২০১৩ সালে এই Scholarship প্রোগ্রামের সূচনা করেছিলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করা। রাজ্যের সকল অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশুনার জন্য এই স্কলারশিপের মাধ্যমে মাসিক ও এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। K1 ও K2 এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করে মেয়েদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। ১৩ – ১৮ বছর বয়সি মেয়েরা K1 ও ১৮ বছরের ওপরে মেয়েরা K2 শ্রেণীর অন্তর্গত। K1 শ্রেণীতে প্রতিবছর ১ হাজার টাকা করে এবং K2 এর অন্তর্গত ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে এবং এই আবেদন করার জন্য আপনারা নিজেদের বিদ্যালয়ের প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

৪) শিক্ষাশ্রী প্রকল্পঃ-
এই প্রকল্প শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধিনস্ত সকল সরকারি বিদ্যালয়ে পাঠরত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর তফসিলি জাতি ও আদিবাসি জনজাতির পড়ুয়াদের জন্য। রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণী ও আদিবাসি উন্নয়ন দফতরের তরফে বার্ষিক ৮০০ টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউণ্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারী পড়ুয়ার পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫০ লক্ষের কম হতে হবে। নিজের বিদ্যালয়ের প্রধানের মাধ্যমে এই আবেদন করতে পারবেন।

৫) ঐক্যশ্রী স্কলারশিপঃ-
এই স্কলারশিপ শুধুমাত্র রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা পাবে। ২০২০ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই স্কলারশিপ শুরু করেছিলেন। এর মাধ্যমে রাজ্যের সকল – মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পারসি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সকলকে এই স্কলারশিপের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হবে। প্রথম শ্রেণী থেকে P.hd পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীরা এর অন্তর্গত টাকা পাবে। আবেদন করার জন্য বিগত শ্রেণীতে নুন্যতম ৫০% নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক নইলে এই আবেদন করা যাবে না। এই টাকা সরাসরি ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

৬) SBI Asha Scholarship:-
দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হল SBI. এই ব্যাংকের তরফে দেশের সকল পড়ুয়াদের পড়াশুনার জন্য আর্থিক সাহায্য নিয়ে এসেছে। এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য সকলকে ৭৫% নম্বর পেতে হবে ও পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। এর মাধ্যমে সকলকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাবেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আপনারা সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। এই প্রতিবেদনটি পুরো পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

বাড়িতে বসে করা যাবে এমন 5 টি ব্যবসার আইডিয়া, একবার শুরু করলে চাকরির আর প্রয়োজন নেই।

Leave a Comment