আপনার নিজের বাইক থাকলে Bike Insurance বা বাইক ইনস্যুরেন্স করিয়ে নেওয়া বাধ্যতামূলক আমাদের দেশে। কারণ এই নিয়ম না মানা হলে RTO (Regional Transport Office) থেকে আপনাকে লাইসেন্স নাও দেওয়া হতে পারে অথবা দিলেও রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কাছে ধরা পরলে জরিমানা দেওয়া নিশ্চিত। এছাড়াও আপনার নিজের বাইকের ইনস্যুরেন্স করা থাকলে আপনি আরও অনেক ধরণের সুবিধা পাবেন, যেমন – চুরি হয়ে যাওয়া, রাস্তা ঘাটে দুর্ঘটনা, ব্যাক্তিগত দুর্ঘটনা এই সকল কিছু থেকে আপনারা কভার পেয়ে যাবেন।
Why Bike Insurance Is So Much Important.
আমাদের দেশের জনসংখ্যা (Population) প্রতিদিন অন্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী কিছু দিনের মধ্যেই সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ হয়ে যাবে আমাদের দেশ। আর এই কারণের জন্য সামাজিক পরিবহণের ওপরে অনেক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণের জন্য অনেকেই নিজেদের ব্যাক্তিগত যানবাহন কিনতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এর মধ্যে বাইক (Two Wheeler) অন্যতম। এই কারণের জন্য আমাদের সকলের উচিত Bike Insurance করিয়ে নেওয়া।
Bike Insurance থাকার সুবিধা সম্পর্কে দেখুন
- ১) আপনার বাইক চুরি হয়ে গেলে আপনারা এর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ২) কোন ধরণের সড়ক দুর্ঘটনার জন্য আপনার বাইকের কোন ক্ষতি হলে বীমা কোম্পানির তরফে এই পরিমাণ টাকা আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
- ৩) শুধুমাত্র বাইকের নয়, বাইক চালকেরাও অনেক সময় এর অধীনে ক্ষতিপূরণ পায়।
- ৪) কিন্তু এই আবেদন করার আগে আপনাদের সকলকে সকল প্রকারের শর্তাবলি ভালো করে পড়ে নিয়ে বুঝে তবেই যে কোন বীমা পলিসি কেনা উচিত।
- ৫) ICICI Lombard, Bajaj Allianz, New India Assurance, HDFC ERGO General Insurance, IFFCO Tokio এই সকলের মধ্যে আপনার পছন্দ অনুসারে আপনারা বীমা কিনতে পারবেন।
Bike Insurance কেনার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
১) আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড।
২) বাইকের রেজিস্ট্রেশন এর কপি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে হবে।
৩) নিজের ঠিকানার প্রমাণপত্র।
৪) প্রয়োজন হলে আপনার জন্মের প্রমাণপত্র চাওয়া হতে পারে।
৫) এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনারা নিজেদের নিকটবর্তী কোন বীমা প্রতিনিধি বা আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।