H.S Exam – উচ্চমাধ্যমিক এখন আরও সহজ, MCQ তেই পাশ হবে ছাত্র ছাত্রীরা।

এবার H.S Exam এর আমূল পরিবর্তন। ছাত্র জীবনের সবচেয়ে বড় একটি পরীক্ষা হলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করলো। এতদিন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ইউনিভার্সিটি গুলিতে এই পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষা নেওয়া হতো।

H.S Exam Semester System

সেমিস্টার পদ্ধতিতে ছাত্র ছাত্রীরা যদি কোনো বিষয়ে ফেল করে তাহলেও তারা পরবর্তী শ্রেণীতে উঠতে পারবেন এবং পরে তাকে ফেল করা বিষয়টিতে আবারও পরীক্ষা দিতে হবে। 2025-2026 সাল শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই প্রথা শুরু হয়ে যাবে। যে ছাত্রছাত্রীরা এবার মাধ্যমিক দিয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে চলেছেন, তাদের হাত ধরেই উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার প্রথা চালু হতে চলেছে।

ঘোষিত হল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার সময়সূচি ও অ্যাডমিড কার্ড সংক্রান্ত তথ্য।

একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টার হতে চলেছে। প্রথম পর্যায়ের অর্থাৎ একাদশ শ্রেণীর সেমিস্টারের 2 টো পরীক্ষা নিজ বিদ্যালয় এই নেওয়া হবে। পরে যে 2 টো পরীক্ষা হবে সেই দুটো পরীক্ষার ওপর বেস করেই উচ্চমাধ্যমিকের নাম্বার দেওয়া হবে। একাদশ শ্রেণীর যে দুটি পরীক্ষা হবে তার প্রথম টা হবে নভেম্বর মাসে এবং পরের টা হবে পরের বছর অর্থাৎ 2025 সালের মার্চ মাসে।

madhyamik result - (মাধ্যমি্ক রেজাল্ট)

দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা গুলো একই সময়ে হবে। অর্থাৎ প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টার নভেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টার মার্চ মাসে হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের প্রথমের পরীক্ষাটি MCQ প্যাটার্নে হবে এবং পরের পরীক্ষা দুটি হবে রচনাধর্মী।

প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারটি হবে MCQ প্যাটার্নে আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টার হবে রচনাধর্মী। তবে এক্ষেত্রে প্রোজেক্ট বা প্রাকটিক্যাল এ ফেল করলে সে ফেল বলেই গণ্য হবে। H.S Exam এ সেমিস্টার পদ্ধতি আনার ফলে নানা মুনির নানা মত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।অনেকে মনে করছেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার মানকে আরো বেশি রসাতলে নিয়ে যেতে চলেছে।

মাত্র 10 নম্বর পেলেই পাস, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর!

Shorts টাইপ প্রশ্নে স্টুডেন্টরা কীভাবে পাশ করে সেটা তো আমরা সকলেই জানি। অষ্টম শ্রেণী অব্দি যেমন পাশ করিয়া দেওয়ার নীতি ছিল এখন H.S Exam এও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে বলে সকলের ধারণা। এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে সকল ছাত্র ছাত্রীরাই ডিগ্রি পেয়ে যাবে কিন্তু তাদের সিক্ষার কোনো বিকাশ হবেনা।

Leave a Comment