পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প, Lakshmir Bhandar, রাজ্যের বহু মহিলার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল গৃহস্থালীর কাজের দায়িত্ব পালন করা মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। কিন্তু, সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর মূল কারণ আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের অভাব। তাই, যারা এতদিন এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে এসেছেন, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
Lakshmir Bhandar: আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ
এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে, শুধুমাত্র প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের সময় আধার কার্ড জমা দেওয়া যথেষ্ট নয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড সংযুক্ত করা এই প্রকল্পে টাকা পেতে একটি বাধ্যতামূলক শর্ত। এর মাধ্যমে প্রকল্পের স্বচ্ছতা এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীদের শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা হয়।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিঙ্কের প্রয়োজনীয়তা
আধার সংযুক্তিকরণ ছাড়া আপনার অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেকে মনে করেন যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আধার কার্ড জমা দিলে এটি লিঙ্ক হয়ে যায়, কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। KYC প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আধার কার্ডকে আলাদা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করতে হয়।
কীভাবে বুঝবেন আধার সংযুক্ত করা হয়েছে কিনা?
নিকটস্থ গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে হাতের ছাপ দিয়ে আপনার ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন। যদি ব্যালেন্স দেখা যায়, তবে আপনার অ্যাকাউন্ট আধারের সাথে সংযুক্ত।
অনেক সময় AEPS (Aadhaar Enabled Payment System) ব্যবস্থা সক্রিয় না থাকলে হাতের ছাপ দিয়ে টাকা চেক করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় AEPS সক্রিয় করানোর জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রকল্পের স্বচ্ছতা বজায় রাখা
আধার সংযুক্তিকরণ শুধুমাত্র Lakshmir Bhandar প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঠিক শনাক্তকরণে সাহায্য করে না, বরং প্রকল্পের আর্থিক স্বচ্ছতাও বজায় রাখে। এটি প্রতারণা এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকল্পের টাকা বাঁচাতে সহায়ক।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংক্রান্ত বিভ্রান্তি
অনেকেই মনে করেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলে Lakshmir Bhandar প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে না। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন যে, যদি কারও নিজের নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকে, তবুও তার নাম যদি পরিবারের কারও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যুক্ত থাকে, তাহলে তিনি এই প্রকল্পের টাকা পেতে পারেন। এই নিয়মটি বহু মহিলার সুবিধা পাওয়ার পথ সুগম করেছে।
নতুন আবেদনকারীদের টাকা কবে আসবে?
- যারা 2024 সালের প্রথম দিকে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন,
- তাদের ডিসেম্বর মাস থেকে টাকা ঢোকার কথা বলা হয়েছে।
- 2. যদিও এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ঘোষণা করেননি,
- তবে সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, নতুন আবেদনকারীরাও ডিসেম্বর থেকে সুবিধা পেতে শুরু করবেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে:
- দ্রুত আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক করান।
- আপনার KYC প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ এবং সঠিক কিনা তা যাচাই করুন।
- AEPS ব্যবস্থা সক্রিয় আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। যদি সক্রিয় না থাকে, তবে ব্যাংকে গিয়ে এটি সক্রিয় করিয়ে নিন।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংক্রান্ত নিয়মগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
সতর্কতা এবং সচেতনতা
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বহু মানুষের জীবনে আশার আলো নিয়ে এসেছে। তবে Lakshmir Bhandar প্রকল্পে আধার সংযুক্তিকরণ এবং KYC-এর মতো ছোটখাটো ভুলের কারণে এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়া দুঃখজনক। তাই দেরি না করে আজই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করুন এবং নিশ্চিত করুন যে, আপনি প্রকল্পের সুবিধা পেতে সক্ষম।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার এর স্ট্যাটাস চেকঃ Click Here!