Ration Card – রেশন কার্ড নিয়ে বড় খবর! প্রত্যেক ভারতবাসীরা পাবেন এই বিশেষ সুবিধা।

বর্তমানে রেশন কার্ড তথা Ration Card ভারতীয় দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। চাকরির পরীক্ষা থেকে, প্রকল্পে আবেদন রেশন কার্ড না থাকলে বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই সমস্যা। ভারতবর্ষে অনেক ক্ষেত্রেই রেশন কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। আর তাই যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের রেশন কার্ড নেই তাঁদের উচিত অতি শীঘ্রই রেশন কার্ডটি তৈরি করে নেওয়া। কারণ রেশন কার্ড না থাকলে বেশ কিছু সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন নাগরিকরা।

Simple Method for Making Ration Card

সকলের জানা দরকার যে, রেশন কার্ডধারীদের বাজার দরের চাইতে কম মূল্যে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হয় সরকারি তরফে। তাই যদি সরকারি সাহায্য পেতে চান ও রেশন কার্ড বা Ration Card বিষয়ে আপনাদের প্রশ্ন থাকে, তবে আজকের এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে ফেলুন। রেশন কার্ড সম্বন্ধীয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হলো।

আবেদন পদ্ধতি

আপনি যদি রেশন কার্ড বা Ration Card তৈরি করতে চান তবে তার আগে আবেদন জানাতে হবে আপনাকে। আবেদন জানানোর জন্য কি করতে হবে, তা স্টেপ বাই স্টেপ নিম্নে বর্ণনা করা হল।

(A) রেশন কার্ড তথা Ration Card এর আবেদন জানাতে হলে একজন নাগরিককে যোগাযোগ করতে হয় নিকটবর্তী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র বা খাদ্য কর্পোরেশনের সঙ্গে। আপনি যখন আবেদন জানাতে যাবেন, তখন অবশ্যই সঙ্গে করে একটি পরিচয়পত্র নিয়ে যাবেন।
(B) নিজের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলির মধ্যে যেন অবশ্যই থাকে আপনার আধার কার্ড ও আয়ের শংসাপত্র। এই ডকুমেন্টগুলি একটি রেশন কার্ডের আবেদন জানানোর জন্য অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ।

(C) নিজের সমস্ত ডকুমেন্টগুলি এবার একসঙ্গে করে নেবেন। এরপর একটি ফর্ম হাতে পাবেন আপনি।
(D) রেশন কার্ড বা Ration Card এর আবেদন জানানোর জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিল আপ করতে হয়। এই আবেদনপত্রটি সাবধানে ও সঠিকভাবে পূরণ করে নেবেন। খেয়াল রাখবেন কোনো তথ্য যেন ভুল না দেওয়া হয়।

(E) আবেদনপত্র ফিল আপ করা হলে তার সঙ্গে আপনার সমস্ত ডকুমেন্টগুলি একজোট করে নিন।
(F) এরপর আপনার সঙ্গে একটি মৌখিকভাবে কথা বলা বা সাক্ষাৎকার নেওয়া হতে পারে আর এটি আয়োজিত হবে আপনার স্থানীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রেই। আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়া শেষ হলে রেশন কার্ডের আবেদনটি পাঠানো হবে বিশেষ পর্যালোচনার জন্য।

‘কর্মদিশা’ প্রকল্পে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ! 15-45 বছরের মধ্যে আবেদন করুন।

(G) সবকটি ধাপ সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর রেশন কার্ডের আবেদন পর্যালোচনা করবেন উচ্চ আধিকারকরা। আপনি রাজ্য বা অঞ্চলের ফুড কর্পোরেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর করে রেশন কার্ড তৈরির স্ট্যাটাস সম্বন্ধে জেনে নিতে পারবেন। আর একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, রেশন কার্ড নির্মাণের জন্য কিন্তু কোনো ফি জমা দিতে হয়না। অর্থাৎ বিনামূল্যে আপনি হাতে রেশন কার্ড পেতে পারবেন।

Job Fair (কর্মসংস্থান মেলা)

আপনার যদি Ration Card তৈরি থাকে, তবে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা আসবে আপনার হাতের মুঠোয়। সমস্ত ক্ষেত্রেই আপনি রেশন কার্ডকে নিজের এক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের তরফে কম মূল্যে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে পারেন। আর যদি সময়ের মধ্যে রেশন কার্ড না বানান তবে সমস্যায় পড়বেন।

বাড়ি বসেই সহজ কয়েকটি স্টেপ ফলো করে বানিয়ে নিন ডিজিটাল রেশন কার্ড।

তাই আর দেরি না করে শীঘ্রই আপনার রেশন কার্ড বানিয়ে নিন। বিস্তারিত জানতে নিকটবর্তী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র বা খাদ্য কর্পোরেশনের অফিসে যোগাযোগ করুন। আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদের পেজটি ফলো করুন।
Written by Arshi Chakraborty.

Leave a Comment