প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ড বা WBBPE TET Scam এর জন্য মুখ পুড়েছে সরকার সহ WBBPE (West Bengal Board Of Primary Education) বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। আর এই কারণের জন্যই কিছু দিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির তরফে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন এবং সরকার ও পর্ষদকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে এই সকল শূন্য পদে পুনরায় নিয়োগ করতে বলেন।
WBBPE TET Scam Latest Update.
কিন্তু এই নির্দেশের ওপরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ২৩ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (WBBPE TET Scam). কিন্তু এর পরে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই রায় বহাল থাকলে এই সকল ৩২ হাজার বা ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকবে কিনা এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু ইতি মধ্যেই এই ধরণের ভুয়ো শিক্ষক শিক্ষিকাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।
রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক জেলা থেকেই এই ধরণের ভুয়ো শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের (WBBPE TET Scam) চিহ্নিত করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বিশেষ সেন্ট্রাল ডেটাবেস তৈরি করলো শিক্ষা দফতর। এই ডেটাবেসে শিক্ষকদের নাম, তাদের সুপারিশ ও মেমো নম্বর সহ আরও অনেক জিনিসেই অনিয়মের মাধ্যমে অপ্রশিক্ষিত হয়েও টানা অনেক বছর ধরে কাজ করে চলেছেন।
এছাড়াও এই শিক্ষকেরা বর্তমানে রাজ্যের কোন বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন এই নিয়েও বিস্তারিত তথ্যও স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে (Primary TET Scam). এরই মধ্যে WBBPE TET Scam নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে এবারে দেখার অপেক্ষা যে এই মামলা গুলির ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে। কিন্তু অনেক মানুষেরাই মনে করছেন সত্যতা যাচাই করার জন্য ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে অনেক গুণ। দীর্ঘ ৫ বছর বাদে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এই টেট পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হয়েছিল।
এই পরীক্ষাতে প্রায় ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং এই ফল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রকাশিত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ২০১৭ সালের বা তার আগে অনুষ্ঠিত হওয়া টেট পরীক্ষার ইন্টারভিউ এখনো সমাপ্ত হয়নি (Primary TET Interview). আর এরই মধ্যে নতুন করে এই ধরণের কাজ কর্মের ফলে অনেকেই ভাবছেন তাহলে কতদিন এই ইন্টারভিউ চলবে তার ঠিক নেই।
State Bank Of India – ষ্টেট ব্যাংকের তরফে গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশিকা দেওয়া হল।
WBBPE TET Scam বা শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির ফলে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়োগ বাতিল করা হলে আখেরে পড়ুয়াদের সমস্যা বৃদ্ধি হতে চলেছে। আর এই বিপুল সংখ্যক নিয়োগ করা খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।
Primary TET Scam – ভুয়ো শিক্ষকদের চিহ্নিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিল শিক্ষা দফতর।