পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা অব্যাহত। থমকে রয়েছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের Teacher Recruitment. লাগাতার ‘নিয়োগ চাই’ স্লোগান তুলে পথে নামছেন চাকরিপ্রার্থী তরুণ তরুণীরা। তাঁদের একটাই দাবি “যোগ্যদের চাকরি হোক।” কিন্তু কোথায় কী? এক একবার প্রতিশ্রুতি এলেও নিশ্চন্ত হওয়ার বার্তা কোথায়! চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার আশায় দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন তরুণ তরুণীরা। তাঁদের আশা এই বছর তো কেটে গেল।
West Bengal Primary Teacher Recruitment in 2024
অন্ততঃ নতুন বছরে যেন তাঁদের অবস্থার উন্নতি হয়। চাকরি মেলে স্বচ্ছ পথে। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার যেন খানিকটা স্বস্তির খবর শোনালো রাজ্য সরকার। নতুন বছরে 5578 জন চাকরিপ্রার্থী Teacher Recruitment পেতে চলেছেন বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী দের বিক্ষোভ 1000 দিন পেরিয়েছে।
প্রতিবাদে, লজ্জায়, যন্ত্রণায় মাথা কামিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী তরুণী। এই ঘটনার পর তীব্র তরজা ওঠে বিভিন্ন মহলে। শুরু হয় আলোচনা পাল্টা আলোচনা। যার ফলস্বরূপ সরকার পক্ষের তরফে সাড়া মেলে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, তিনি SLST চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। গত 11th ডিসেম্বর সেই বৈঠক হয়।
বিকাশ ভবনে SLST চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর সেই বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বিপুল শূন্যপদে নিয়োগের বার্তা দেন। সূত্রের খবর, গত 11th ডিসেম্বর বিকাশ ভবনে SLST চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মধ্যে প্রায় ঘন্টা দুয়েকের আলোচনা চলে। বৈঠক শেষ হতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শীঘ্রই 5578 টি শূন্যপদ পূরণে পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার।
চলতি ডিসেম্বর মাসে আরও একবার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যের Teacher Recruitment প্রক্রিয়া আইনি জটের মুখে থমকে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই আইনি জট কাটিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, “আমি আগেও বলেছি যে আদালত যেরকম নির্দেশ দেবে, সেটা মেনেই আমরা চাকরি দেব।
বর্তমানে যে বিলম্ব হচ্ছে তা অতি দ্রুত কেটে যাবে বলে সরকার তরফের আশা। “মনে করা হচ্ছে, নতুন বছরে হয়তো নিয়োগ পেতে চলেছেন অপেক্ষারত তরুণ তরুণীরা। এত দিনের নিয়োগ জট কেটে চাকরি পাবেন তাঁরা। বৈঠকের পর খানিকটা আশ্বস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এবার কবে নিয়োগ মেলে, তা একমাত্র অপেক্ষার। প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ নিয়ে সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
যা বিতর্ক বাড়ালেও একটি ধারণাচিত্র উঠে এসেছে চাকরিপ্রার্থীদের সামনে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু জানান, বর্তমানে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে মোট শূন্যপদের সংখ্যা 267 টি। উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শূন্যপদের সংখ্যা হল 473 টি। এছাড়া, মাধ্যমিক স্কুলে রয়েছে 28 টি শূন্যপদ, উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রে রয়েছে 13 টি শূন্যপদ।
42000 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আদালতের কড়া নির্দেশ। কি সিদ্ধান্ত নিলো পর্ষদ।
সব মিলিয়ে মোট 781 টি শূন্যপদের হিসেব দেন তিনি। কিন্তু পরে এ নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কের অবসান করতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি বলেছিলাম, Teacher Recruitment এর শূন্যপদ কত, আমার পক্ষে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়।” তাঁর বক্তব্য, তিনি যে পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন, তার চেয়ে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ আরও অনেক বেশি।
Written by Arshi Chakraborty.