ক্রমে ব্যবসার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের। আর ব্যবসা শুরুর আগে Business Idea করে নিতে হবে যে কি নিয়ে ব্যবসা করবেন? আর আর কোন ব্যবসায় কত লাভ? ব্যবসার ক্ষেত্রে পুঁজি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কম টাকা ইনভেস্ট করে কিভাবে বেশি লাভ করা যাবে, তা একজন ব্যবসায়ীর মূল লক্ষ্য। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি Business Idea নিয়ে আলোচনা করবো, যেখানে শূণ্য ইনভেস্টমেন্টে মাসে মাসে মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন। কী সেই ব্যবসা? কীভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা? সবটা জানতে পড়ে ফেলুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।
Without Investment Online Sceret Business Idea
অনলাইন বিজনেস আইডিয়া
বর্তমানে অনলাইন মাধ্যম ব্যবসার জন্য একটি ওপেন গ্রাউন্ড। এখানে একজন পড়ুয়া, মহিলা থেকে যে কেউ বিনা পুঁজিতে একটি নতুন বিজনেস শুরু করতে পারেন। আর আপনার ব্যবসা যদি ঠিকভাবে চলে, তবে মাসে মাসে আপনার রোজগার দাঁড়াবে 10 থেকে 15 হাজারেরও বেশি। আজকে আমরা আলোচনা করবো ড্রপ শিপিং (Drop Shipping) নামক ব্যবসাটি নিয়ে। এই বিজনেস শুরু করা যেমন সহজ তেমনই এই ব্যবসার মাধ্যমে
দেখতে পারেন মোটা টাকার লাভের মুখ (Business Idea).
ড্রপ শিপিং বিজনেস কী?
ড্রপ শিপিং বিজনেসটি রিসেলিং (Reselling) নামেও পরিচিত। এই ব্যবসায় আপনাকে একজন কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার নিতে হবে। এবং বিক্রেতার কাছে সেই অর্ডারটি পৌছে দিতে হবে। এই মধ্যস্থতা কাজটির জন্য আপনি আপনার মতো করে লাভ রাখতে পারেন। বর্তমানে বেশ কিছু অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করা যায়। যেমন মিশো অ্যাপটি এই সুবিধা দেয়।
কিভাবে শুরু করবেন এই বিজনেস?
আপনি যদি এই বিজনেসটি শুরু করতে চান, তবে আপনাকে একটি প্রোডাক্টের জন্য একজন খদ্দের জোগাড় করতে হবে। তারপর আপনাকে একজন বিক্রেতাকে খুঁজতে হবে। আপনি এর জন্য বেশ কিছু অনলাইন অ্যাপের সাহায্য নিতে পারেন। যেমন Roposo বা Meesho এর মতো অ্যাপগুলি (Business Idea).
এই ব্যবসার প্রসেসটা ঠিক এরকম মনে করুন একজন কাস্টমার আপনার কাছ থেকে একটি অর্ডার বুকিং করেছে। আপনি কাস্টমারের থেকে প্রোডাক্টির জন্য দাম নিচ্ছেন 200 টাকা। আপনি এরপর ওই কাস্টমারের অর্ডারটি বিক্রেতাকে দিলেন। যিনি এটি বিক্রি করছেন 100 টাকায়। মাঝে যে একশো টাকাটি এল এটি আপনার লাভ হিসেবে জমা হবে।
ব্যবসা করার কিছু জরুরি টিপস
১. রিসেলিং ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো প্রোডাক্ট নির্বাচন। আপনাকে এমন একটি প্রোডাক্ট বাছতে হবে, যেটি ভালো হবে ও বাজারে
সহজে পাওয়া যাবেনা।
২. প্রোডাক্টটি বেশি করে কাস্টমারের কাছে পৌছনোর জন্য তার ভালো ছবি তুলুন, রিল বানান, তারপর এটি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে ভালো করে ছড়িয়ে দিন, বিজ্ঞাপন দিন।
৩. প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে আপনার ফোন নম্বর দিন। যাতে কাস্টমার সরাসরি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
৪. প্রোডাক্টের দামের সঙ্গে একটি লভ্যাংশ রাখতে ভুলবেন না। তারপর এই প্রোডাক্টটি যখন আপনি বিক্রি করবেন তার ডেলিভারিও ব্যবস্থা রাখবেন। যাতে এটি কাস্টমারের বাড়ি অবধি পৌছে দেওয়া যায়।
রেশন কার্ড থাকলেই পেয়ে যাবেন 6 হাজার টাকা! 16th ডিসেম্বর থেকে চালু হল এই কর্মসূচী।
রিসেলিং ব্যবসা
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এই ব্যবসা থেকে দুর্দান্ত রোজগার করা যায়। বেশি কাস্টমার পেতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। ইতিমধ্যে এই ব্যবসা থেকে অনেকেই দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা আবার অনেকে পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছিও ইনকাম করতে পারেন।